শিল্প কারখানায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সিগমাইন্ড

এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক STOP COVID প্রযুক্তি

1514375322BGMEA-3-1-1

বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রোডাকশন খাত গুলো দীর্ঘমেয়াদি লক ডাউন এর ক্ষতি বেশিদিন সামলে নিতে পারবে না, যতই প্রণোদনা দেওয়া হোক। তাই পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে রোজার মাসের মধ্যে সীমিত আকারে কিছু গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা চালু করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

সেই মোতাবেক করোনাভাইরাসের মহামারীতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই সীমিত পরিসরে কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের দুই খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। রোববার থেকে বিজিএমইএর সদস্য ঢাকা ও আশপাশের অন্তত ২০০ কারখানা চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে বিজিএমইএর সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ জানিয়েছেন। (সূত্র : bdnews24)

thermal copy

এক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান SIGMIND.ai । করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রাক্কালে সরকারের ICT Division এবং a2i এর সাথে যৌথভাবে এই সমস্যা গুলো মোকাবিলায় আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য উপরোক্ত সমস্যাগুলোর প্রযুক্তিগত বাস্তবিক সমাধান নিশ্চিত করছে।

gamrment1

SIGMIND.ai কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সাধারণ সার্ভিলেন্স ক্যামেরা থেকেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির দূরত্ব পরিমাপ , মুখোশ পড়ছে কিনা যাচাই করা, ফেস রিকোগনিশনের মাধ্যমে হাজিরা নেওয়া প্রভৃতি কাজ করতে পারে সহজেই। পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা যুক্ত করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে নাম সহ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে পারবে যা কর্তৃপক্ষের বিপুল পরিমান সময়, শ্রম ও লোকবল সাশ্রয় করবে। এবিষযে ইউটিউবে একটি সচেতনতামূলক ভিডিও প্রকাশ করেছে সিগমাইন্ড যার লিংক দেখে নিতে পারেন ইউটিউবে। 

Surveillance Technology to Overcome Pandemic (STOP) COVID

bank1

করোনা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের প্রাক্কালে সিগমাইন্ড এর এই "Surveillance Technologies to Overcome Pandemic" বা সংক্ষেপে "STOP COVID" প্রযুক্তি গার্মেন্টস সহ অন্যান্য শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হলে তা যেমন শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে ঠিক তেমনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপৃর্ত্ন ভূমিকা পালন করতে পারে |  শিল্প কারখানায় এতো বিপুল সংখক মানুষ কে সার্বক্ষণিক এভাবে নজরদারিতে রাখার মতো জনবল নিয়োগ দেওয়া অনেক ব্যয়সাপেক্ষ এবং ক্ষেত্রবিশেষে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই একুশ শতকের স্মার্ট ফ্যাক্টরি তে প্রয়োজন স্মার্ট অটোমেশন টেকনোলজি।

hospital2

আমরা সবাই জানি বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশে দেশে সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ কমে আসায় কোনো কোনো দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনাও করছে। গবেষকেরা বলছেন, শুধু সামাজিক দূরত্বের নিয়মকানুন মানলেই করোনার সংক্রমণে অর্ধেক মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ১৭ এপ্রিল বলছেন, নভেল করোনার বিরুদ্ধে কোনও ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলে অস্ট্রেলিয়ায় সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা এক বছর বা তারও বেশি সময়ের জন্য অব্যাহত থাকতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়েই ইতালি, স্পেন, ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশ শিথিল করেছে লকডাউন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, একবার লকডাউন দিয়ে প্রতিরোধ করা যাবে না এই করোনা ভাইরাস। এটি কিছুদিন পরপর আবার জারি করতে হবে। আর ২০২২ সাল পর্যন্ত মানুষের মধ্যে এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলেও গবেষণায় বলা হয়। তাই আমাদের এই অবস্থার সাথে মানিয়ে নিয়ে উদ্ভাবনী দক্ষতা নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।   বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন রকম প্রয়োগে জোর দিচ্ছেন । এক্ষেত্রে বাংলাদেশে ২০১৭ সাল থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রায়োগিক গবেষণায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে সিগমাইন্ড যার ধারাবাহিকতায় বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে এগিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি । বর্তমানে বাংলাদেশের শিল্প খাতগুলো নিজেদেরকে সময়ের সাথে মানিয়ে উম্ভাবনী চিন্তাধারা নিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে আসলেই কেবল আমরা এই অর্থনৈতিক ধস এর লাগাম টেনে ধরতে পারবো।

affiliates

 উদ্ভাবনী চিন্তাধারার ও তার প্রায়োগিক গবেষণার জন্য বিভিন্ন সময়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে সিগমাইন্ড। এর মধ্যে BASIS National ICT Award 2019, Merit Award in APICTA 2019 , Smart City Award, Entrepreneurship World Cup 2019, TOP 10 Winner in Startup Istanbul, Top 20 in Startup Bangladesh, Winner in r-Venture 2.0 প্রভৃতি উল্লেখ্য ।