ঢাকা যেন রিক্সার নগরী

ভিনদেশে স্বল্প দূরত্বে মানুষ সাধারণত হেঁটেই চলাচল করে। অন্যদিকে বাংলাদেশে মানুষের হাঁটার প্রবণতা হ্র্রাস পাওয়ার প্রচ্ছন্ন কারণগুলো এরকম:

১. ফুটপাথ: হকারদের দখল দৌরাত্ম ও বিশৃঙ্খলা (চাঁদাবাজির দৌরাত্ম, রাজনৈতিক সমস্যা )

২. গণপরিবহন: বিশৃঙ্খলা ও হয়রানি (রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম )

৩. ব্যক্তিগত গাড়ি: আকাশচুম্বী ট্যাক্সের বোঝা (পলিসিগত সমস্যা )

৪. CNG অটোরিকশা : মিটার দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি ( আইন প্রয়োগের অভাব )

৫. মোটরবাইক : এখানেও অস্বাভাবিক ট্যাক্স, সাথে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্রিজে উঠতে দেয় না, এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয় না, মহাসড়কে ঈদে বন্ধ আর পুলিশের হয়রানি তো আছেই

সাধারণ জনগণ যাবে কই, তাই রিক্সাই ভরসা। ধীরগতির হলে কি হবে চাইলেই উল্টো পথে গিয়ে সময় বাঁচানো যায়।  লাইসেন্স লাগে না, ট্যাক্স লাগে না, আইন মানার বাধ্য বাধকতা নাই, গাড়িচালকেরা ঘষা খাওয়ার ভয়ে সমীহ করে চলে আর গরিব বলে দুর্ঘটনা ঘটালেও মাফ পাওয়া যায় !  কি বিচিত্র !!

ব্যাটারিচালিত রিক্সা নিয়ে অনেক কথা হলেও ঢাকা শহরে চলাচলকারী প্রায় ১৩ - ১৫ লাখ অযান্ত্রিক রিকশা যার ৯৫-৯৭ শতাংশই অবৈধ তা নিয়ন্ত্রণে কোনো তৎপরতা চোখে পরে না। বাংলাদেশে পরিবহন সেক্টরে অনেক আইন থাকলেও রিক্সা নিয়ন্ত্রণে আজ পর্যন্ত কোনো আইন প্রকাশিত হয়নি!! এই অরাজকতা সৃষ্টিকারী ধীরগতির মান্ধাতার আমলের অযান্ত্রিক রিক্সা নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পরে না।

বিশ্বের কোনো দেশে প্রধান সড়কে রিক্সার মতো ধীরগতির যান চলতে দেওয়া হয় না।  সড়কের সব লেন দিয়েই রিক্সার অবাধ চলাচলে দ্রুতগতির যানবাহনগুলো হয়ে পরে ধীরগতির, তৈরী হয় যানজট ও  বিশৃঙ্খলা।  রিক্সা নিয়ন্ত্রণে কেন দেশে কোনো আইন থাকবে না ? কেন রিক্সা আইনের উর্ধে থেকে আরো বেপরোয়া হতে থাকবে ? সিটি কর্পোরেশন কি জেগে থেকেই ঘুমন্ত !! নাকি রিক্সা কে নিয়ন্ত্রণ না করা একশ্রেণীর  সুবিধা দেওয়ার পায়তারা?

কেন অলিগলি ছেড়ে প্রধান সড়কে দাপট দেখাচ্ছে রিকশা?

  • দুই সিটি কর্পোরেশনে রিক্সার নির্দিষ্ট হিসাব নেই। উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কাগজে কলমে ৩০ হাজার আর দক্ষিণে ১ লক্ষ ৯০ হাজার রিক্সা রয়েছে
  • তবে বেসরক্যারি হিসাবে দুই সিটি কর্পোরেশন মিলে  ১২ লাখের বেশি রিক্সা রয়েছে । তবে অনুমোদিত রয়েছে মতো ৭৯ হাজার রিক্সা । বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ রিকশা ঢাকায় চলাচল করছে।
  • প্রধান অনেক সড়কে অনুমতি না থাকলেও রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের ছত্রছায়ায় দেদার চলছে বিভিন্ন সড়কে, এমনকি অনেক মূল সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
  • ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বা বিলসের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, ঢাকা শহরে ১১ লাখ রিকশা চলাচল করছে। এই সংখ্যা গত ৫ বছরে অনেক বেড়েছে।
  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভেতরে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ রিকশা চলাচল করছে।
  • রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে এসব রিকশা চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের ছত্রছায়ায় দেদার চলছে বিভিন্ন সড়কে।
  • সিঙ্গাপুর, ভারত  এসব শহরেও একসময় রিক্সা চলতো, কিন্তু এখন সিঙ্গাপুরে রিক্সা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আর ভারতে আইন করে মূল সড়কে আসা বন্ধ করা গেছে।
শহরে বিশৃঙ্খল রিক্সা

প্রশাসন কেন চুপ ?

  • বাংলাদেশে পরিবহন সেক্টরে অনেক আইন থাকলেও রিক্সা নিয়ন্ত্রণে কোনো আইন প্রকাশিত হয়নি
  • গরিব ও অসহায় বলে রিক্সাচালকেরা বার বার আইন অমান্য করেও পার পেয়ে যায় এবং আরো বেপরোয়াভাবে হয়ে উঠে।
  • ২০১৯ সালে রিক্সা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য দুই সিটি কর্পোরেশন চেষ্টা চালালেও রিকশাচালকদের আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রিক্সার জন্য আলাদা যেন চালুর ঘোষণা দেন যা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি এবং কোথাও কোথাও হলেও রিক্সা চালকেরা সেসব যেন থোড়াই কেয়ার করে।
  • রিক্সা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অনেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে সেগুলো বাস্তবায়ন করা যায় নি।

ঢাকার রাস্তায় রিকশা চলছে কার ইশারায়?

  • ঢাকার রিক্সার নিবন্ধন দেওয়ার কথা দুই সিটি কর্পোরেশনের হাতে থাকলেও নিবন্ধনের থোড়াই পরোয়া করে এলাকার প্রভাবশালীদের ইশারায় রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে।
  • ঢাকায় চলমান রিক্সার মাত্র  ৩-৪ শতাংশের বৈধতা রয়েছে। ২০২৩ সালে কৃষিক্ষেত্র থেকে প্রায় ১৬ লক্ষ শ্রমিক শহরে এসেছে রিক্সা চালানোকে পেশা হিসেবে নিতে। (খন্দকের আব্দুস সালাম, গবেষক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ )
  • প্রধান সড়কে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও প্রশাসনের নির্বিকার মনোভাব আর পুলিশ সহ  স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাঁদা দিয়ে প্রধান সড়কে বুক ফুলিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিক্সা
  • রিকশার ওপর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ কখনোই ছিল না।
  • রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অবৈধ রিকশা রাস্তায় নামানোর জন্য প্রধানত দায়ী।

ব্যাটারি চালিত রিক্সার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে ?

  • রিকশা মালিকরা বলছেন, একটি সাধারণ রিকশা তৈরিতে খরচ হয় ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এরপর লাইসেন্স নিতে খরচ হয় প্রায় একই রকম। কিন্তু ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে তৈরি করা যায় একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা। তাতে নেই লাইসেন্স নেয়ার ঝামেলা। সহজে চালানো যায়। তাই অনেক সাধারণ মানুষও এসব রিকশা কিনে কারও হাতে ধরিয়ে দিয়ে পথে নামাচ্ছেন।
  • সাধারণ রিকশা মালিকরা বাড়তি আয়ের জন্য ঝুঁকছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার প্রতি। ব্যাটারিচালিত রিকশার ক্ষেত্রে আয় প্রায় তিন গুণ।
  • এলাকাভিত্তিক প্রভাবশালী চাঁদাবাজরা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারিচালিত রিক্সা যা রাস্তায় চালাতে পুলিশকেও  চাঁদা দিতে হয়
  • যদিও এই ব্যাটারিচালিত রিক্সা বন্ধ নয় বরং ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে বিদ্যুৎ ও  জ্বালানি মন্ত্রণালয়। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এগুলোকে “বাংলার টেসলা” বলে অভিহিত করেন সাবেক মন্ত্রী। অবশ্য এগুলোর ফিটনেস দেখার দায়িত্ব বিদ্যুৎ বিভাগের নয় বলে দায় এড়িয়ে যান।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে রিক্সা স্ট্যান্ড !

  • ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কের মোড়ে খেয়াল খুশিমতো রাস্তা দখল করে গড়ে উঠছে অস্থায়ী রিক্সা স্ট্যান্ড , যা রাস্তার ক্যাপাসিটি শুধু কমিয়েই দিচ্ছে না সাথে রাস্তার প্রবেশমূখ সরু করে যানজট আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে
  • ট্রাফিক পুলিশ বক্সের নাকের ডগায় কিভাবে তারা রিক্সা স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলছে তা সহজেই বোধগম্য

বেপরোয়া রিক্সাচালক

  • রিক্সা চালকদের শিক্ষার অভাব, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা, যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব তাদেরকে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করছে, যাদের বেশিরভাগই সড়কে চলাচল করতে যে আইন বলতে কিছু আছে তা ই জানে না।
  • একটু সময় বাঁচানোর জন্য সিগন্যাল অমান্য করে  রিক্সাচালকের উল্টো পথে রিক্সা ঢুকিয়ে যানজট তৈরিতে প্রধান ভূমিকা রাখে। কিন্তু এবিষয়ে তাদের মধ্যে কোনো সচেতনতা নেই বা সচেতন করার উদ্যোগও
  • অনেক রিক্সাচালক অবৈধভাবে রাস্তার একাধিক লেন দখল করে চালায়, এমনকি একে অন্যকে ওভারটেক করার প্রতিযোগিতায় মত্ত থাকে । এর ফলে রাস্তার কার্যকরী প্রস্থ কমে যায় এবং যানজট বৃদ্ধি পায়।
  • রিক্সা খুবই ধীরগতির যান। সড়কে রিক্সা আর দ্রুতগতির মোটর ভেহিকেল একই সাথে চললে রিক্সার গতির কারণে সেই দ্রুত গতির যান গতি কমাতে বাধ্য হয়।
উল্টো পথে অবাধে চলছে রিক্সা

রিক্সার বিচিত্র কাঠামো শহরের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ

  • ঢাকার ট্রাফিক অধিকাংশই নিয়ন্ত্রিত হয় রিক্সার দ্বারা।  মেকানিক্যালি এ ধরণের যানবাহন অনিরাপদ, দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। যে শহরে মেট্রোরেলের মতো দ্রুতগতির গণপরিবহন চলে সেখানে রিক্সার মতো ধীরগতির উদ্ভট যান কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
  • বর্তমান যুগে এসে পৃথিবীর কোনো দেশে এমনকি আফ্রিকার দেশগুলোতেও রিক্সা শহরে চলাচল করতে পারে না
  • একটু ফাক পেলেই সামনের চাকা ঢুকিয়ে জায়গা নিশ্চিত করে রিক্সা, তারপর সুযোগমতো আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় পিছনে দ্রুতগতির যানবাহনকে তোয়াক্কা না করেই।
  • গাড়ি চালকেরাও এসব রিক্সা কে সমীহ করে চলে যেন গাড়িতে দাগ বা আঁচড় না পরে। রিক্সার বিচিত্র ও উদ্ভট অসমান গড়ণ কাঠামোর জন্য এদের ঘষা খাওয়ার কোনো চিন্তা থাকে না, তাই বেপরোয়া ভাবে মূল সড়ক থেকে অলি গলিতে নির্বিঘ্নে চলাচল করে।
  • রিক্সার কোনো সিগন্যাল লাইট নেই তাই তারা ডানে বামে কোন দিকে যাচ্ছে তা অন্য যানবাহন চালকেরা বুঝতে পারে না যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরী করে।

রিক্সার বিকল্প কি ?

  • রিক্সার মতো ধীরগতির অযান্ত্রিক যানবাহন অনেক আগেই প্রায় সব দেশ থেকেই উঠে গেছে, কেউ এটার বিকল্প খুঁজতে যায়নি কারণ এটা যুগের সাথেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। স্বল্প দূরত্বে হেটে যাওয়া ছাড়াও অনেক দেশেই রেন্টাল বাইসাইকেল, রেন্টাল স্কুটার এর মতো প্রযুক্তিনির্ভর, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী লাস্ট মাইল  ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
  • স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতে আরো বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতার ইলেকট্রিক বাগি কার বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে, বাংলাদেশেও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এধরনরের পরিবেশবান্ধব দ্রুতগতির যান।
  • লেগুনার মতো নির্দিষ্ট রুটে এসব ইলেকট্রিক যান চলাচল করলে একইসাথে অনেক যাত্রী গন্তব্যে যেতে পারবে সাচ্ছন্দে।
বসুন্ধরায় চলাচল করছে বাগি কার

রিক্সা চালকদের পুনর্বাসন কি সম্ভব ?

  • ঢাকায় বেশিরভাগ রিক্সাচালকরাই পার্ট টাইম জব হিসেবে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে মহাজন থেকে রিক্সা নিয়ে নেমে পরে, যারা সড়কে শহরের সড়কে চলতে আইন মানা তো দূরের কথা আইন মেনে যে চলতে হয় এটাই জানেনা।
  • এদের অনেককে কৃষিকাজ বা কারখানায় শ্রমিক হিসেবে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সড়কে তাদের সংখ্যা কমানো যেতে পারে। তবে এটি করতে হলে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পুনর্বাসন নীতি গ্রহণ করতে হবে।

রিক্সা ট্যাক্স প্রদানকারী নাগরিকদের সাথে বৈষম্যমূলক

  • একই  সড়কে  ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকেরা আকাশচুম্বী ট্যাক্স পরিশোধ করে পুরাতন বা রিকন্ডশনড গাড়ি কিনে রাস্তায় নামায় আবার প্রতিবছর রোড ট্যাক্স ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে ফিটনেস সার্টিফিক এর পিছনে মোটা অংকের অর্থ ব্যায় করতে হয়।  অন্যদিকে রিক্সা চালকেরা কোনো নিবন্ধন বা ফিটনেস ছাড়াই রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে পারে, কোনো ট্যাক্স পরিশোধের ঝামেলাও নেই।
  • একদিকে ফিটনেস - রেজিস্ট্রেশন - লাইসেন্স বিহীন রিক্সা রাস্তায় কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় যেমন খুশি চলাচল করছে অন্যদিকে সব নিয়ম মেনে সরকারকে যথাযথ ট্যাক্স দিয়েও গাড়িচালকেরা  দ্রুতগতির গাড়ি নিয়ে এই রিক্সার পিছনে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে যা সুস্পষ্ট বৈষম্যমূলক। এমনকি খানাখন্দে ভরা অসমতল ঢাকার রাস্তায় চলাচল করে গাড়ির মেইনটেনেন্স খরচের বোঝা বাড়ছে তবুও গাড়ি মালিকেরা বছরের পর বছর রোড ট্যাক্স ইনকাম ট্যাক্স দিয়েই চলেছেন।
  • রিক্সার যদি রাস্তায় চলতেই হয় তবে তাদেরকে কেন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হবে না এমনকি রিকশাচালকদের কেন লাইসেন্স লাগবে না ?
রিক্সার দাপটে অসহায় ট্যাক্স প্রদানকারী যান্ত্রিক যানবাহন

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক, নিরাপদ, ও পরিবেশবান্ধব বাহন চালুর মাধ্যমে রিকশার মতো পুরনো ধীরগতির বাহনের জাদুঘরে জায়গা নেয়া উচিত। এর ফলে দুর্ঘটনা ও যাত্রী দুর্ভোগ কমবে, সাথে পরিবহন খাতে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

অযান্ত্রিক, ধীরগতির বিশৃঙ্খল এই রিক্সা পরিকল্পিত নগরায়নের প্রধান অন্তরায়।  রিক্সা নিয়ন্ত্রণে আইন করা এখন সময়ের দাবি। গরিব ও অসহায় বলে রিক্সাচালকেরা বার বার আইন অমান্য করেও পার পেয়ে গেলেও ২ কোটি মানুষের আবাস্থল ঢাকায় যানজটে যেখানে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় সেখানে রিকশাকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

আইন করে রিক্সা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এনে ধীরে ধীরে অপসারণ করে নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থা কে গতিশীল করার এখনই উদ্যোগ না নিলে বাসযোগ্যতার ইন্ডেক্সে ঢাকা শহর আরো পিছিয়ে যেতেই থাকবে।

ঢাকা শরীরের পরিবহন ব্যবস্থার নৈরাজ্যে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় আসা রিপোর্টের একটি ইউটউব প্লেলিস্ট